পার্বত্য় ভূমি সহায়িকা : পার্বত্য় চট্টগ্রামের বন ও ভূমি অধিকার, ইজারা এবং অভ্য়ন্তরীণ উদ্বাস্তু সমস্য়া / প্রফেসর মংসানু চৌধুরী এর দ্বারা সম্পাদিত
Contributor(s): চৌধুরী, প্রো. মংসানু, সম্পা.
Material type:
Item type | Current library | Call number | Status | Date due | Barcode | |
---|---|---|---|---|---|---|
![]() |
Mahanirban Calcutta Research Group Library | 349.5492 PAR (Browse shelf(Opens below)) | Available | 3480 |
Browsing Mahanirban Calcutta Research Group Library shelves Close shelf browser (Hides shelf browser)
প্রথম অংশ: প্রারম্ভিক -- প্রকাশকের কথা -- প্রকাশক চাকমা রাজ কার্যালয়ের বক্তব্য -- প্রকাশক এসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম এ্যন্ড ডেভলপমেন্ট (এএলআরডি) এর বক্তব্য -- প্রকাশক বংলাদেশ ইন্ডেজেনাস পিপল্স নেটওয়ার্ক অন ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড বায়োডাইভারসিটি (বিপনেট) এর বক্তব্য -- প্রকাশক পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটি-র বক্তব্য -- মুখবন্ধ – সম্পাদকীয় নোট – দ্বিতীয় অংশ: প্রবন্ধ -- পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি বন্দোবস্তি আইন ও নীতির বিবর্তনএবং পাহাড়ি জনগণের অধিকার রক্ষার্থে পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন ১৯০০ এর ৩৪ নং বিধি সহ অন্যান্য আইন ও নীতির সংস্কার / রাজা দেবাশীষ রায় দ্বারা -- পার্বত্য চট্টগ্রামের চাকমা রাজাদের রাজস্ব ব্যবস্থাপনা / ড. আনন্দ বিকাশ চাকমা দ্বারা -- বান্দরবান পার্বত্য জেলায় আদিবাসী পাহাড়িদের জমি বহিরাগত ও অনিবাসীদের কাছে জমির ইজারা প্রদানে রাষ্ট্রের ভূমিকা / জুয়ামলিয়ান আমলাই বুদ্ধজ্যোতি চাকমা দ্বারা -- পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি, ১৯৯৭ এর বিধান ও অভিপ্রায় এবং পার্বত্য বান্দরবানে অ-বাসিন্দা কর্তৃক প্রাপ্ত বানিজ্যিক ভূমি ইজারার আসল অবস্থা / রাজা দেবাশীষ রায় দ্বারা -- পার্বত্য চট্টগ্রামের ভুলে যাওয়া অভ্যন্তরীণ পাহাড়ি উদ্বাস্তুদের কথা -- / হরিপূর্ণ ত্রিপুরা দ্বারা-- বন আইন সংশোধনী ও আদিবাসী জাতিগোষ্ঠির অধিকার -- / সুদত্ত বিকাশ তঞ্চঙ্গ্যা দীপোজ্জল খীসা ও সুদীপ্ত চাকমা -- Management of Village Common Forests in the Chittagong Hill Tracts of Bangladesh: Historical Background and Current Issues in Terms of Sustainability / by Mohammed Jashimuddin & Makoto Inoue -- তৃতীয় অংশ: সংযুক্তি -- আইন / ১৮,১৯,২০ ও ২১ -- আদালতের রায় / ২১(ক) -- ডেপুটি কমিশনারের স্থায়ী ও অন্যান্য আদেশ / ২২,২৩(১), ২৩(২), ২৪(১), ২৪(২), ২৫(১), ২৫(২), ২৬(১), ও ২৬(২) -- সরকার ও সারকারী কর্মকর্তা কর্তৃক প্রেরিত স্মারক, পত্র ও অন্যান্য দলিল / ২৬(১)(ক), ২৬(১)(খ), ২৬(১)(গ), ২৬(১)(ঘ), ২৭,২৮, ও ২৯ -- সরকারের নিকট প্রেরিত স্মারকলিপি ও পত্র / ৩০,৩১,৩২ ও ৩৩ -- চাকমা রাজার রায়, আদেশ ও পরামর্শমূলক স্মারক / ৩৪,৩৫,৩৬,ও ৩৭ -- জাতিসংঘের দলিল এবং প্রীতি দল ও ২৪ পদাতিক ডিভিশনের সমঝোতা স্মারক / ৩৮, ৩৯(ক) ও ৩৯(খ)
“পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে বিভ্রান্তির মেঘ যেন কাটছেনা । সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এ বিভ্রান্তির মেঘ যেন আরও ঘনিভূত হয়ে চলেছে । যাঁরা মনে করেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্পর্কে তাঁরা যথেষ্ট জেনে ফেলেছেন, তাঁদের অধিকাংশই আসলে যথেষ্ট জানতে পারেন নি । বরং এঁদেরই একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং এ অঞ্চলের বিভিন্ন স্বল্পসংখ্যক জাতিগোষ্ঠী সম্পর্কে বিভ্রান্তি পোষনে (feeding the wrong) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন এবং রাখছেন ।
এটা সম্ভব হতে পারছে এ কারনে যে, পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্পর্কে প্রকৃত তথ্য সাধারণের কাছে পৌঁছুতে পারছে না । আর যদিওবা এ তথ্যগুলো একসময় মানুষের কাছে পৌঁছায়, তখন এগুলো আর অবিকৃত থাকে না । একটা স্বার্থানেষী মহল তথ্যগুলৌকে তাদের স্বার্থের উপযোগী করে ম্যানিপুলেট করে পরিবেশন করে । “পার্বত্য ভূমি সহায়িকা : পার্বত্য চট্টগ্রামের বন ও ভূমি অধিকার, ইজারা এবং অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু সমস্যা” বইটিতে পাঠকবৃন্দ এসব বিভ্রান্তি নিরসনের প্রকৃত উপাদানগুলো খুঁজে পাবেন ।
এ বইটি পাঠ করে যা জানা যাবে তা হলো, পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি বন্টনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ন পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন ১৯০০ এর ৩৪ নং বিধির অভিপ্রায় ব্রিটিশ আমলে কি ছিল, আর পাকিস্তান ও বাংলাদেশের শাসনামলে কীভাবে বিভিন্ন সময়ে সংশ্লিষ্ট বিধির অসংবেদনশীল সংশোধন সমগ্র পার্বত্য চট্টগ্রামের অদিবাসী পাহাড়িদেরকে বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিয়েছে, যা এক পর্যায়ে এ অঞ্চলে সশস্ত্র প্রতিরোধের জন্ম দেয় এবং যার ক্ষত এখনও এ অঞ্চলে বয়ে চলেছে ।
এ বিধি সংশোধন করে পার্বত্য চট্টগ্রামে বহিরাগত কর্তৃক ভূমি স্বত্ব অর্জনের দ্বার অবারিত করা হলে কীভাবে এখানে চার লক্ষাধিক সমতলবাসীর বসতি গড়ে তোলা হয়, প্রায় দুই যুগ ধরে চলা সমসংখ্যক ভয়াবহ সহিংস সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা আর আগুনের লেলিহান শিখায় পাহাড়িরা কীভাবে তাদের জীবন, সম্ভ্রম সম্পদ, বসতি, বাস্তুভিটা, জমি ইত্যাদি নতুন বসতিকারীদের কাছে হারায়, এবং হাজারে হাজারে উদ্বাস্তুতে পরিনত হয়, অতি কম সময়ের মধ্যে আদিবাসী পাহাড়িদের প্রতিকূলে জনমিতির ভারসাম্যের পরিবর্তন হয় তার বিবরণ জানা যাবে ।
কীভাবে বিধি নং ৩৪ লঙঘনের কারণে বান্দরবানে ভূমি ইজারার হরিলুট চলে, অনিয়ম ও অনৈতিকভাবে প্রদত্ত ইজারার কারণে কীভাবে এ জেলার মানুষেরা নিজেদের বাস্তুভিটা থেকে উৎখাত হয়েছে, কীভাবে বৈষমপূর্ণভাবে একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের সদস্যরা সরকারি-বেসরকারি চাকুরি করতে এসে, ব্যবসা করতে এসে ভূমি ইজারার সিংহভাগ কুক্ষিগত করেছে তার একটা অবিশ্বাস্য চিত্র এ গ্রন্থ পাঠে পওয়া যাবে ।
১৯২৭ সালের বন আইন সংশোধন করে ২০১৯ সালের প্রস্তাবিত বন আইন খসড়ায় আইনটিকে গণমূখী ও পরিবেশ সংরক্ষনমূলক আইনে পরিনত করার প্রয়াস বলা হলেও কার্যত উল্লিখিত খসড়ার ধারা, উপধারাগুলো দেখে মনে হবে যেন বন বিভাগকে একটি “দায়িত্বশীল বন বিভাগ” থেকে বন বিভাগের “বনজমিদারীত্ব”তে রূপান্তরের প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে । এ প্রসঙ্গ নিয়ে গ্রন্থটিতে আলোচনা রয়েছে । এছাড়াও, পার্বত্য চট্টগ্রামে পরম্পরাগতভাবে পাড়াবন বা village common forest সৃষ্টি করার যে ঐতিহ্য রয়েছে যা গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর দৈনন্দিন চাহিদা মেটানো ছাড়াও জীববৈচিত্র সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, সে সম্পর্কে মাঠ পর্যায়ে পরিচালিত একটি সমীক্ষা-লব্ধ তথ্যও গ্রন্থটিতে পাওয়া যাবে ।
পার্বত্য চট্টগ্রামকে সঠিকভাবে জানার জন্য গ্রন্থটি নিঃসন্দেহে একটি নির্ভরযোগ্য গাইড হিসেবে কাজ করবে ।“ --বইয়ের কভার
There are no comments on this title.